CSE স্টুডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে হাইয়েস্ট রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট কাজ

যে একটা কাজ টপ ১% ইঞ্জিনিয়ার করে.

  ·   2 min read

আমি সবসময় ভেবেছি CSE-তে পড়াশোনা করার সময় কীভাবে সবচেয়ে বেশিরকম রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI) অর্জন করা সম্ভব। আজ সেই ব্যাপারে কিছু পরামর্শ শেয়ার করছি।

ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট: হাইয়েস্ট ROI #

CSE স্টুডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে হাইয়েস্ট রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট কাজ কী করতে পারো Right Now? সংক্ষেপে বললে:

একটা ইম্প্রেসিভ ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট বানানো বা কন্ট্রিবিউট করা।

এখানে কন্ট্রিবিউট করার সময় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—ফাইনাল আউটপুট দেখে যেনো একজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার টেকনিক্যালি “ইম্প্রেসিভ” মনে করেন। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যেনো এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারো:

“Link to a video of you demo’ing the most technically impressive thing you’ve built. Show us the most impressive parts of the code.”

শুরুতে যাদের অভিজ্ঞতা কম, তারা ছোটখাটো টাস্ক বা ফিক্স দিয়ে এগিয়ে যেতে পারো: মাসখানেক Pull Request ওপেন করা, কোড পড়া, অ্যানালাইস করা, চেইঞ্জ পুশ করা—এক কথায় পুরো পাইপলাইনটা শেখা।

Beginner-friendly Issues #

একদম বিগিনারদের জন্য goodfirstissue.dev দারুণ একটি রিসোর্স। এখানে বিভিন্ন ওপেন-সোর্স প্রজেক্টের বিগিনার-ফ্রেন্ডলি ইস্যু পাওয়া যাবে। কীভাবে স্টেপ-বাই-স্টেপ কন্ট্রিবিউট করতে হয়, সেই সংক্রান্ত নির্দেশনা আলাদা লিঙ্ক বা ভিডিওতেও পাবে।

নিজস্ব প্রজেক্ট নাকি কন্ট্রিবিউশন? #

পরবর্তী ধাপ হলো চিন্তা করা—নিজের কোনো আইডিয়া বাস্তবায়ন করবে, নাকি বিদ্যমান কোনো ওপেন-সোর্স প্রজেক্টে কাজ করবে?

  • নিজের আইডিয়া: ফিনিশ করে ওপেন-সোর্স করে ফেলতে পারো।
  • এক্সিস্টিং প্রজেক্ট: প্রচুর AI প্রজেক্ট আছে, যেকোনো একটাতে ইমপ্রুভমেন্ট বা বাগ ফিক্সের স্কোপ দেখলে সেটার উপর ডিপ স্টাডি করে কাজ করা যায়।

যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে #

  1. একটা স্ট্রং প্রজেক্ট বা ফিচারই যথেষ্ট
    ১০টি ছোটখাটো কম গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের চেয়ে একটি পরিপূর্ণ ও টেকনিক্যালি চ্যালেঞ্জিং ফিচার বা প্রজেক্ট বরং অনেক বেশি মূল্যবান।

  2. AI-centric জিনিস অনেকটাই সলভ হয়ে গেছে
    তাই এর বাইরে অ্যালগরিদমিক ইমপ্রুভমেন্ট, সার্চ ইনডেক্সিং ইমপ্রুভমেন্ট, কনটেক্সট অ্যাওয়ারনেস, বা লেটেন্সি রিডাকশন—এগুলো নিয়ে কাজ করা বেশি ইমপ্রেসিভ লাগবে।

  3. লং-টার্ম পরিকল্পনা
    এক-দুই সপ্তাহ বা এক মাস নয়, বরং এক বছরের প্রজেক্ট হিসেবে ধরে ধাপে ধাপে এগোও। প্ল্যানিংয়ের জন্য Lucidchart বা FigJam-এর মতো ডায়াগ্রামিং টুল ভালো কাজে দেবে।

এটা বানানোর পর কী হবে? #

যে কোনো জায়গায় (ইন্টার্নশিপ, জব, গ্র্যাড অ্যাপ, ফেলোশিপ, স্টার্টআপ, অথবা গ্র্যান্ট) যেতে চাইলে, কাজের প্রমাণ চাইবে সবাই। অনেক ক্ষেত্রেই লেখা থাকে—“ওপেন সোর্স কন্ট্রিবিউশন করা ক্যান্ডিডেটরা প্রেফারড।”

যখনই একটা প্রজেক্টের লিংক দিতে বলবে, দেখতে পাবে—সব প্রজেক্টের মধ্যে এই প্রজেক্টটাই সবার আগে দেখাতে ইচ্ছা করবে, কারণ এটার পেছনে তুমি বেশি চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা করে, নতুন কিছু শিখে কাজ করেছো। সেটাই হবে তোমার হাইয়েস্ট ROI প্রয়াস।

ধন্যবাদ, এবং সফল হোক তোমার ওপেন-সোর্স ভেঞ্চার!